কক্সবাজার থেকে শহরে গিয়ে চুরি—গ্রেফতার চক্রের ৩ সদস্য

চট্টগ্রাম •

আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রটি কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে নগরীতে চুরি করতে আসতো। আবার চুরি শেষে চকরিয়া ফিরে যেত।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এক শিক্ষকের গবেষণার ল্যাপটপ চুরি হওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চুরির তথ্য পেয়েছে বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এই চক্রের দুই সদস্য চুরি করতে গিয়ে হালিশহরে জনতার হাতে আটক হয়। পরে তাদের আটক করে হালিশহর থানায় সোর্পদ করা হলে অপর একটি চুরির ঘটনার ফুটেজ মিল দেখতে পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে চোরাই পণ্য উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়।

আটক চোর চক্রের সদস্যরা হলো- মো. তৌহিদুল ইসলাম (১৮), মোঃ ছোটন মিয়া (১৮), সাইফুল ইসলাম (২৬)। এরা সকলেই কক্সবাজার জেলার পেকুয়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে জানা যায়, কুইন্স লাইন ইউনির্ভার্সিটি এন্ড টেকনোলজি ব্রীজম্যান, অস্ট্রেলিয়ার ভিজিটিং রিসার্স ফেলো এবং তড়িৎ বিভাগের ডিন ড. ইয়াং টং গু ও প্রফেসর ড: মাজহারুল করিমের তথ্যাবলীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) প্রফেসর ড. তোফায়েল আহম্মেদ (তড়িৎ বিভাগ) একটি স্মার্ট এ্যানার্জি সিস্টেম প্রজেক্ট তৈরি করেন। ড. মো. মাহবুবুর রহমানের ল্যাপটপে প্রজেক্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষিত ছিল। ল্যাপটপটি গত ৯ ডিসেম্বর তাঁর অক্সিজেনের বাসা থেকে চুরি হয়ে যায়। ঘটনাটি বিল্ডংয়েরে একটি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। পরে এই ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘মামলার বাদী ড. মো. মাহবুবুর রহমান চুয়েটের শিক্ষক। তাঁর বাসা থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি ল্যাপটপ চুরি হয়ে যায়। পরে এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন পুলিশের পেইজে প্রকাশ করা হয়। ঘটনাক্রমে গতকাল ১১ ডিসেম্বর রাতে ওই ফুটেজের দুই ব্যক্তি হালিশহর থানা এলাকায় চুরি করতে গিয়ে আটক হন। পরে ফুটেজ চেক করে মো. তৌহিদুল ইসলাম, ও মো. ছোটন মিয়াকে শনাক্ত করা হয়। তাদের বায়েজিদ থানায় আনা হলে ল্যাপটপ চুরির ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবদ করা হয়। এক পর্য়ায়ে ল্যাপটপটি চকরিয়া থানাধীন অপর আসামী সাইফুল ইসলামের কাছে আছে বলে জানায়। পরে সাইফুলকে ল্যাপটপসহ চকরিয়া থেকে আটক করা হয়।

ওসি কামরুজ্জামান আরও বলেন, চক্রটি ভোর বেলায় চুরি করে। বিশেষ করে যখন মানুষ ফজরের নামাজ পড়তে যায় তখন কোন বাসার দরজার খোলা আছে কিনা তারা সেটা চেক করে। টার্গেটকৃত বাসায় ঢুকে চুরি করে বেরিয়ে পড়ে। আসামী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে।